সম্পূর্ণ হনুমান চালিশা বাংলা অনুবাদ | Hanuman Chalisa in Bengali with Translation
Bangla translated Hanuman Chalisa হলো তুলসী দাস রচিত Hanuman Chalisa র বাংলা অনূবাদ। বাংলা ছন্দে হনুমান চালিসা একটু বিরল। তুলসীদাস রচিত বাংলা ও ইংরেজি হরফে Hanuman Chalisa আপনি আমাদের ব্লগেই পাবেন যথাক্রমে Hanuman Chalisa in Bengali এবং Hanuman Chalisa in English শীর্ষক পোস্টে। পুরোপুরি বাংলা ছন্দে Bangla Hanuman Chalisa এবং Hanuman Chalisa র bengali lyrics আপনাদের কাছে উপস্থিত করছি। আশাকরি আপনাদের ভাল লাগবে।
সম্পূর্ণ হনুমান চালিশা
জয় শ্রী শ্রী হনুমান চালীসা
শ্রীহনুমতে নমঃ
জয় শ্রী শ্রী হনুমান চালীসা
শ্রী গুরু চরন সরোজ রজ নিজমনু মুকুরু সুধারি |
বরনঊ রঘুবর বিমল জসু জো দায়কু ফল চারি ||
বুদ্ধিহীন ননু জানিকে সুমিরৌ পবন কুমার |
বল বুদ্ধি বিদ্য়া দেহু মোহি হরহু কলেস বিকার ||
শ্রী গুরু চরণ রূপ কমলের পরাগের দ্বারা নিজের মন রূপ দর্পণ পরিষ্কার করে রঘুবর শ্রীরামচন্দ্রের বিমল বর্ণনা করতে প্রবৃত্তি হচ্ছে। শ্রী রামের এই কীর্তিগাথা ( ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ ) চতুর্বিধ পুরুষার্থই প্রদান করে। কিন্তু আমি যে নিতান্ত নির্বোধ তা বুঝে পবন নন্দন হনুমান কে স্মরণ করছি। প্রভু আপনি কৃপা করে আমার সেই ক্ষমতা বুদ্ধি এবং বিদ্যা দান করুন, আমার সর্বপ্রকার ক্লেশ এবং তজ্জনিত বিকার সমূহ হরণ করুন।
জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর | জয় কপীশ তিহু লোক উজাগর || ১ ||
রামদূত অতুলিত বলধামা | অংজনি পুত্র পবনসুত নামা || ২ ||
হে হনুমান, হে কবিশ্রেষ্ঠ, আপনার জয় হোক। জ্ঞান ও গুণের সাগর স্বরূপ আপনি।ত্রিভুবনে প্রসিদ্ধ আপনার নাম।
আপনি শ্রী রামের দূত।অতুলনীয় আপনার বল ও তেজ। অঞ্জনার পুত্র আপনি, পবন নন্দন নামেও আপনি পরিচিত।
মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী | কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গী ||৩ ||
কংচন বরণ বিরাজ সুবেশা | কানন কুংডল কুংচিত কেশা || ৪ ||
আপনি মহাবীর, মহাবিক্রমশালী, বজরংবলী। আপনি কুমতির নিবারণকর্তা এবং শুভ বুদ্ধির সঙ্গী।
স্বর্নবর্ণ দেহে শোভন বেশে কর্ণে কুন্ডল এবং কুঞ্ছিত কেশের দর্শনীয় আপনার রুপ।
হাথবজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ | কাংথে মূংজ জনেঊ সাজৈ || ৫||
শংকর সুবন কেসরী নন্দন | তেজ প্রতাপ মহাজগ বন্দন || ৬ ||
আপনার হাতে বজ্র এবং ধ্বজা বিরাজিত, স্কন্ধে মুঞ্জাতৃণ নির্মিত উপবীত শোভমান।
মহাদেবের অংশে জাত আপনি, বানর শ্রেষ্ঠ কেশরী আপনার পিতা। তেজস্ক্রিয়তা এবং প্রতাপে আপনি সর্ব জগতে পূজনীয়।
বিদ্য়াবান গুণী অতি চাতুর | রাম কাজ করিবে কো আতুর || ৭ ||
প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিয়া | রামলখন সীতা মন বসিয়া || ৮||
বিদ্যা ও গুনে ভূষিত আপনি উদ্দেশ্য সাধনে অতিশয় দক্ষ ও চতুর শ্রী রামের কার্য সম্পাদনে আপনি সর্বদা তৎপর।
প্রভু শ্রী রামচন্দ্রের চরিত কথার রসগ্রাহী শ্রোতা আপনি আপনার হৃদয়ের শ্রী রাম,লক্ষণ ও সীতার বসতি।
সূক্ষ্ম রূপধরি সিয়হিং দিখাবা | বিকট রূপধরি লংক জরাবা || ৯ ||
ভীম রূপধরি অসুর সংহারে | রামচংদ্র কে কাজ সংবারে || ১০ ||
সীতাদেবীর কাছে আপনি ক্ষুদ্র দেহ ধারণ করে দেখা দিয়েছিলেন। লঙ্কা দহন এর সময় বিকট আকার ধারণ করেছিলেন।
রাক্ষস দের সংহারকালে আপনার রুপ অতি ভয়ংকর। এইভাবে শ্রীরামচন্দ্রের কাজের জন্য আপনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপ ধারণ করেন।
লায় সংজীবন লখন জিয়ায়ে | শ্রী রঘুবীর হরষি উর লায়ে || ১১ ||
রঘুপতি কীন্হী বহুত বডাঈ | তুম মম প্রিয় ভরতহি সম ভাঈ || ১২ ||
মৃতসঞ্জীবনী ঔষধি নিয়ে এসে আপনি শ্রী লক্ষণকে পুনর্জীবিত করেন। আনন্দচিত্তে শ্রীরাম আপনাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন।
রঘুপতি আপনার অশেষ প্রশংসা করেন এবং আপনাকে তার ভরতের সমান ভাই বলেন।
সহস বদন তুম্হরো জাস গাবৈ | অস কহি শ্রীপতি কণ্ঠ লগাবৈ || ১৩ ||
সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা | নারদ শারদ সহিত অহীশা || ১৪ ||
আমি সহস্র বদনে তোমার যশ কীর্তন করি এই কথা বলে শ্রীরাম আপনাকে কণ্ঠলগ্ন করেন।
ব্রম্ভাদি দেবশ্রেষ্টগণ স্বয়ং দেবী সরস্বতী সনকাদীক মুনি চতুষ্টয় অনন্তনাগ নারদ সহ অন্যান্য ঋষি বৃন্দ আপনার যশ কৃত্তন করেন।
জম(য়ম) কুবের দিগপাল জহাং তে | কবি কোবিদ কহি সকে কহাং তে || ১৫||
তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা | রাম মিলায় রাজপদ দীন্হা || ১৬ ||
যমরাজ কুবের আদি দিশার রক্ষক, বিদ্যমান পন্ডিত আপনার যশ এর বর্ণনা করতে পারেনা।
আপনি সুগ্রীবের সঙ্গে রামের মিলন ঘটিয়ে তাকে রাজপদে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে তার পরম উপকার সাধন করেছিলেন।
তুম্হরো মন্ত্র বিভীষণ মানা | লংকেশ্বর ভএ সব জগ জানা || ১৭ ||
য়ুগ সহস্র য়োজন পর ভানূ | লীল্য়ো তাহি মধুর ফল জানূ || ১৮ ||
বিভীষন আপনার পরামর্শ মেনে ছিলেন এবং তার পরিনামে তিনি লাঙ্কার অধীশ্বর হয়েছিলেন একথা জগতের সকলেই জানে।
এক যুগ সহস্র যোজন দূরে অবস্থিত যে সুর্যদেব তাকে আপনি মিষ্ট ফল জ্ঞানে গ্রহণ করতে উদ্যত হয়েছিলেন।
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী | জলধি লাংঘি গয়ে অচরজ নাহী || ১৯ ||
দুর্গম কাজ জগত কে জেতে | সুগম অনুগ্রহ তুম্হরে তেতে || ২০ ||
আপনি শ্রীরামচন্দ্রের আংটি মুখে নিয়ে সাগর লঙঘন করে পরাপারে গেছিলেন – এতে আশ্চর্যের কিছু নেই।
জগতে যত দুষ্কর কাজ রয়েছে সবই আপনার কৃপায় সহজসাধ্য হয়ে ওঠে।
রাম দুআরে তুম রখবারে | হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে || ২১ ||
সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা | তুম রক্ষক কাহূ কো ডর না || ২২ ||
শ্রী রামের দ্বারে আপনি রক্ষক। আপনার অনুমতি ব্যতীত কেউ এখানে প্রবেশ করতে পারে না। অর্থাৎ আপনার কৃপা ব্যতিত ভগবান রামের প্রতি ভক্তি লাভ হয় না।
যে আপনার শরণ নেয় সে স্বর্গ সুখ লাভ করে। আপনি যাকে রক্ষা করেন কারো কাছ থেকে তার আর ভয় থাকে না।
আপন তেজ তুম্হারো আপৈ | তীনোং লোক হাংক তে কাংপৈ || ২৩ ||
ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ | মহবীর জব নাম সুনাবৈ || ২৪ ||
আপনার তেজ একমাত্র আপনি সম্বরন করতে পারেন। আপনার হুংকারে ত্রিভুবন কম্পিত হয়।
মহাবীর হনুমান এর নাম যেখানে উচ্চারিত হয় ভূত পিশাচ সে স্থানের নিকট আসতে পারে না।
নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা | জপত নিরংতর হনুমত বীরা || ২৫ ||
সংকট তেং(সেং) হনুমান ছুডাবৈ | মন ক্রম বচন ধ্য়ান জো লাবৈ || ২৬ ||
নিরন্তর হনুমানের নাম জপ করলে সর্বপ্রকার রোগ পীড়া বিনষ্ট হয়।
সংকটে পতিত হলে শ্রী হনুমান এর নাম কীর্তন,মনে তাকে স্মরণ এবং ক্রমশ তাকে ধ্যান করলে সেই সংকট থেকে তাকে তিনি মুক্ত করেন।
সব পর রাম তপস্বী রাজা | তিনকে কাজ সকল তুম সাজা || ২৭||
ঔর মনোরধ জো কোই লাবৈ | সোঈ অমিত জীবন ফল পাবৈ || ২৮ ||
তাপস্বী শ্রীরাম জগতের সকলের প্রভু। সেই মহামহীমাশালীর সকল গুরুতর কর্মসমূহের দায়িত্ব পালন আপনার পক্ষে সম্ভব হয়েছিল।
অন্য যে কোন মনোবাসনা নিয়ে যে আপনার দারস্ত হয়। সেই অনন্ত জীবনের জন্য সেই সব ফললাভ করে।
চারো যুগ পরিতাপ তুম্হারা | হৈ পরসিদ্ধ জগত উজিয়ারা || ২৯ ||
সাধু সন্ত কে তুম রখবারে | অসুর নিকন্দন রাম দুলারে || ৩০ ||
সর্বজগতেই একথা প্রসিদ্ধ আছে যে চার যুগেই আপনার প্রতাপ সমুজ্জল ভাবে বর্তমান।
অসাধু সজ্জনগনের আপনি রক্ষাকর্তা, অসুরদের বিনাশকারী এবং শ্রীরামচন্দ্রের একান্ত প্রিয়পাত্র।
অষ্ঠসিদ্ধি নৌ(নব) নিধি কে দাতা | অস বর দীন্হ জানকী মাতা ||৩১ ||
রাম রসায়ন তুম্হারে পাসা | সাদ রহো রঘুপতি কে দাসা || ৩২ ||
মাতা জনকীদেবী আপনাকে এরুপ বর দিয়েছিলেন যে, আপনি ইচ্ছা করলেই অষ্ট সিদ্ধি এবং নয় প্রকারম সম্পদ দান করতে পারেন।
শ্রী রামের প্রতি প্রেমভক্তি আপনার ভান্ডারে বিদ্যমান। হে রঘুপতি দাস মহাবীর হনুমান আপনি সর্বদা আমার নিকট থাকুন।
তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ | জনম জনম কে দুখ বিসরাবৈ || ৩৩ ||
অংত কাল রঘুবর পুরজাঈ | জহাং জন্ম হরিভক্ত কহাঈ || ৩৪ ||
আপনার ভজনা করলে তা প্রকৃতপক্ষে শ্রী রামের উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয় এবং শ্রী রামের প্রতি সম্পাদন করে। জন্ম-জন্মান্তরের সঞ্চিত দুঃখ ভুলিয়ে দেয়।
যেখানেই সেই ভোজনকারী জন্ম হোক না কেন তা ভগবদ্ভক্ত রূপেই তার পরিচিত হয় এবং এতে তিনি শ্রী রামের নিত্য ধামে গমন করেন।
ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরঈ | হনুমত সেই সর্ব সুখ করঈ || ৩৫ ||
সংকট কটৈ মিটৈ সব পীরা | জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা || ৩৬ ||
অপর কোন দেবতার প্রতি চিত্ত নিবিষ্ট না করেও কেবল হনুমানের সেবা করলে সর্ব ফললাভ হতে পারে।
যিনি মহাবলীবীর্যসমন্বিত শ্রী হনুমান কে স্মরণ করেন তার সকল সংক্রমিত হয় সর্ব রোগ নিরাময় হয়।
জৈ জৈ জৈ হনুমান গোসাঈ | কৃপা করো গুরুদেব কী নাঈ || ৩৭ ||
জো শত বার পাঠ কর কোঈ | ছূটহি বন্দি মহা সুখ হোঈ || ৩৮ ||
হে প্রভু হনুমানজি, আপনার জয় হোক, জয় হোক, জয় হোক। গুরুদেব যেমন তার শীষ্যের প্রতি অনুগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন সেই রকম আপনিও আমাকে কৃপা করুন।
এই হনুমান চালিশা যে শত বার পাঠ করবে তার বন্ধনমুক্তি ঘটবে এবং সে প্রভূত সুখ সৌভাগ্য লাভ করবে।
জো য়হ পডৈ হনুমান চালীসা | হোয় সিদ্ধি সাখী গৌরীশা || ৩৯ ||
তুলসীদাস সদা হরি চেরা | কীজৈ নাথ হৃদয় মহ ডেরা || ৪০ ||
যে কেউ এই হনুমান চালিশা পাঠ করবে তার সিদ্ধিলাভ হবে। এ বিষয়ে স্বয়ং মহাদেব প্রমাণ।
তুলসীদাস সদাসর্বদাই শ্রী হরির সেবক,দাসানুদাস।হে প্রভু আপনি তার হৃদয়টিকে আপনার বাসস্থানে পরিণত করুন অর্থাৎ তার হৃদয়ে নিত্য বাস করুন।
দোহা
পবন তনয় সঙ্কট হরণ – মঙ্গল মূরতি রূপ |
রাম লখন সীতা সহিত – হৃদয় বসহু সুরভূপ ||
শ্রী রাম লক্ষণ এবং সীতাদেবী সহ সংকটমোচন, মঙ্গলময় বিগ্রহ সুরশ্রেষ্ঠ শ্রীপবননন্দন আমার হৃদয় বসতি করুন।
সিয়াবর রামচন্দ্রকী জয় | পবনসুত হনুমানকী জয় | বোলো ভাযী সব সংতনকী জয |